রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে গুরুতর আহত বর মনির হোসেনসহ উভয়পক্ষের ১৪ জনকে স্থানীয়রা চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন। এছাড়া অন্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ আইচা থানার চর মানিকা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভূঁইয়ার হালট এলাকায়, কনের বাবা নুরে আলমের বাড়িতে। সূত্রে জানা যায়, দুই সপ্তাহ আগে নুরে আলমের মেয়ে লিমা বেগমের সঙ্গে জাহানপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনির হোসেনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। রোববার মনির ৪০ জন বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন জীবন শুরু করতে যান।
বিয়েবাড়ির গেটের টাকা নিয়ে বরপক্ষ ও কনেপক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়, যা দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মনির হোসেন জানান, ১৫ দিন আগে তার বিয়ে হয় এবং রোববার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে শ্বশুরবাড়িতে যান। গেটে কনেপক্ষের লোকজন ৫ হাজার টাকা দাবি করে, তবে তিনি ৩ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও তাদের গেটে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এক পর্যায়ে কনেপক্ষের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায় এবং তাকে মারধর করে হাত ভেঙে দেয়। এতে তার পরিবারের প্রায় ২০ জন আহত হন।
কনের বাবা নুরে আলম জানান, বর আসার পর গেটে সবাই আনন্দ করছিলেন, কিন্তু বরপক্ষের লোকজন হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়, যেখানে তার পরিবারের ১০ জন সদস্যও আহত হন।
শশীভূষণ থানার ওসি তারিক হোসেন রাসেল জানান, এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।
0 Comments